কেরানীগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের গেটে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী জানালেন, ফরম জমা দিতে হবে দোতলায়। সঙ্গে কক্ষ নম্বরও জানালেন। কিন্তু দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মুখেই দুজনের ডাকে থমকে যেতে হলো। বললেন, ‘ভাই এটাই লাইন।’ অগত্যা তাঁদের পেছনে দাঁড়াতে হলো। যদিও মনে কেমন ‘কিন্তু কিন্তু’ করছিল। দেখতে দেখতে লাইনের শেষ ব্যক্তির
এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
গণপরিবহন নেই। ভারী যানবাহনেরও চলাচল নেই। এ হিসেবে রাস্তা ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু তেমনটি নয়। বরং বিভিন্ন স্থানে বেশ জটলা করে আছে গাড়িগুলো। তারপরও মোড়ে মোড়ে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা মানুষের জটলা কমছে না। এত ভিড় ঠেলে তবু এগিয়ে যাওয়া যাচ্ছে দু-চাকার জোরে। একে পাশ কাটিয়ে, তাকে পিছে ফেলে এগোনো যাচ্ছে। মোটর
ঝাঁজালো রোদ। সূর্যের দাপটে সবারই নাভিশ্বাস উঠছে। শরতের স্বচ্ছ আকাশ একদিকে স্বস্তি দিচ্ছে, মন ভালো করে দিচ্ছে। অন্যদিকে ঝাঁজালো রোদের কারণে গরমে নাকাল হতে হচ্ছে কর্মব্যস্ত মানুষদের। বিশেষত রাস্তাতেই যাদের কাজ, তাদের অবস্থা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফেরার সময়ই দেখা হলো কাঁটাতারের জালিতে আটকে পড়া পাখিদের সঙ্গে। সেখানে লক্ষ্মীপ্যাঁচার সঙ্গে চোখাচোখি এড়িয়ে চোখ পড়ে গিয়ে বকের ওপর, সেখান থেকে সরালে চোখ যায় চড়ুইর ডানায়। পাশ থেকে শালিক ডেকে বলছে যেন, ‘আমায় দেখ।’ সবাই যেন একবাক্যে একই কথা বলছে—দেখ কী করে, কাদের তাড়িয়েছ তোমরা।’ থমকে...
অবশেষে আবার আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠছে পাখিরা। তার সঙ্গে কিচিরমিচির নয়, হই হই ধ্বনিতে জেগে উঠছে শহরও। এমন দৃশ্যের কল্পনা কত দিন ধরে করছে এই শহরের মানুষ। কিন্তু এর বাস্তবায়ন শুধু দীর্ঘায়িতই হয়েছে বারবার। বারবার করোনা নামের এক অণুজীব এসে শিশু-কিশোরদের প্রিয় প্রাঙ্গণের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুদের দী
বাবুবাজার ব্রিজের সামনে বেজায় ভিড়। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল সব বেশ কসরত করে চলছে। অবশ্য পুরান ঢাকার অলিগলিতে এটা রোজকার দৃশ্য। একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে। প্যাচপেচে না হলেও কাদাজল আছে রাস্তায়। যেতে হবে অনেকটা পথ।
যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার
পেছন থেকে একনাগাড়ে বেজে চলছে কর্কশ হর্ন। তার সঙ্গে আরও কিছু দূর থেকে ভেসে আসা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন যখন মিলেমিশে আক্ষরিক অর্থেই এক মাতম শুরু করেছে, তখনই পাশ থেকে হ্যাঁচ্চো। ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই দেখা গেল মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর একজন তাঁর মাস্ক পরা মুখটাই অভ্যাসবশত মোছার...
রাজধানীর সড়কগুলোয় গাড়ি চলাচল আগের চেয়ে এখন বেশি থাকলেও সবাইকে একটু সমঝে চলতে হচ্ছে। সাধ্য অনুযায়ী তা করছেও। যতটা যা ভাঙছে, তার পেছনে আছে ক্ষুধা, তথা উপার্জনের সমীকরণ। রাস্তায় বেরোনো রিকশা বা অটোরিকশাগুলোকে অনেক কিছু ডিঙিয়ে সওয়ারি খুঁজতে হচ্ছে।
করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়।
মুখ ভার করা আকাশের নিচে এ যেন এক বিজন শহর। বাস–গাড়ির হর্নের যন্ত্রণায় যে শহর মুখ ব্যাদান করে থাকে, সে শহরে কী ভয়ানক কবরের নিস্তব্ধতা! আরেকটু হলেই বলা যেত—কোথাও কেউ নেই। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনশূন্য এই শহরের প্রতিটি পথেই একটু পরপর সজাগ চোখ মেলে রয়েছেন আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা। চো